the Nucleus

(বাম থেকে) ফায়েজ আহমদ, আরিজ আনাস, অধ্যাপক সাবির বিন মুজাফফর (আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের বৈজ্ঞানিক কমিটি তথা জুরি বোর্ডের প্রধান), সৌমিত্র চক্রবর্তী (জুরি), অধ্যাপক একেএম জাকির হোসেন (জুরি), আহম্মদ নাইম, এবং ফাইয়াদ আহম্মদ।

“মরুর দেশে বাংলার বাঘ”- স্লোগান নিয়ে এবছর সারাদেশ ব্যাপী ১২ টি আঞ্চলিক উৎসব, জাতীয় উৎসব, জাতীয় আবাসিক বায়োক্যাম্প এবং অনাবাসিক বায়োক্যাম্পের মাধ্যমে সারা দেশের ১২ হাজারের অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত চারজন প্রতিযোগী বাছাই করা হয়েছে, যারা টিম বাংলাদেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের হয়ে লড়বে।

টিম বাংলাদেশের সদস্যরা হলেন – গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, রাজশাহীর ফায়েজ আহমদ, স্কলাস্টিকার ফাইয়াদ আহম্মদ, সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজের আরিজ আনাস এবং ঢাকা সিটি কলেজের আহম্মদ নাইম। আন্তর্জাতিক জুরি হিসাবে অংশগ্রহণ করবেন ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) এবং অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও উপাচার্য, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)।

এবছর সারাদেশ ব্যাপী আয়োজিত বিডিবিও-সমকাল আঞ্চলিক উৎসবে সহস্রাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। বিডিবিও-সমকাল জাতীয় জীববিজ্ঞান উৎসবে অংশগ্রহণ করে ১২৫০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে তিন ধাপে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর মূল্যায়নের মাধ্যমে চূড়ান্ত ভাবে চারজন প্রতিযোগী বাছাই করা হয়। ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মূল পর্বটি পরিচালিত হয় সাভারে অবস্থিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজিতে। সমগ্র কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে ল্যাব বাংলা। পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর হিসেবে এ আয়োজনে আমাদের সঙ্গে রয়েছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং এসিআই মটরস। নলেজ পার্টনার হিসেবে সহায়তা প্রদান করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড। বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটি এবং সমকাল কাজ করে যাচ্ছে।

আন্তজাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের ৩৪ তম আসর আগামী ৩ জুলাই থেকে ১১ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইন শহরে অবস্থিত ইউনাইটেড আরব এমিরেটস ইউনিভার্সিটিতে। প্রায় ৮০ টি দেশের সহস্রাধিক প্রতিযোগী, জুরি এবং অতিথি এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। এখানে ফাইয়াদ আহম্মদ, ফায়েজ আহমদ, এবং আহম্মদ নাইম ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেন আর আরিজ আনাস মেরিট সনদে ভূষিত হন। লাল-সবুজের এ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এ বছর বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

nucleus.gif

বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র

আমাদের অস্তিত্ব জৈবসামাজিক এবং আমাদের পরিমন্ডল জীবজগত থেকে অবিচ্ছিন্ন। জীবজগত এবং জৈবনিক প্রপঞ্চ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান এবং পরিণত উপলব্ধি তাই আধুনিক মানুষের পূর্ণাঙ্গতার অপরিহার্য ভিত্তি। জীব এবং জৈবনিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে উন্নত এবং স্পষ্ট ধারণা, প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করা, প্রকৃতির নিয়মকে জেনে সমাজের প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো এবং সর্বোপরি প্রকৃতির সাথে স্বাস্থ্যকর সহাবস্থানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজনীয় অন্তর্দৃষ্টি তৈরী করে থাকে। শৈশব থেকেই শুরু হওয়া উচিৎ আমাদের এই অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা। বলা বাহুল্য আমাদের প্রচলিত শিক্ষা-ব্যবস্থা বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তোলার জন্যে যথেষ্ট নয়। তাই উপরোক্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্যে প্রচলিত শিক্ষার বাইরে শিক্ষার্থীদের অনুসন্ধিৎসাকে জীবজগতের বিস্তৃত পরিমন্ডলে  নিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক এবং কার্যকর একটি পদ্ধতি হল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিযোগিতামূলক জ্ঞানচর্চা।

সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে  বেশ কিছু বছর ধরে, অন্যান্য অনেক বিষয়ের মত জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও শুরু হয়েছে অলিম্পিয়াড বা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। জ্ঞানের অন্যান্য শাখায় এ ধরণের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাকে ঘিরে আমাদের দেশেও শুরু হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষামূলক কর্মকান্ড। আমরা এখন বুঝতে পারছি, এ সব কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং  অনুসন্ধিৎসাকে পাঠ্যপুস্তকের গন্ডি ছাড়িয়ে ঐ বিষয়ে গভীরতর উপলব্ধির দিকে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় এ ধরণের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিষয়টির সৃজনশীল প্রয়োগ সম্পর্কেও শিক্ষার্থীদের মনে স্পষ্ট ধারণা সঞ্চারিত করা সহজ হয়। প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি-পর্বের প্রশিক্ষণ এবং পর্যালোচনা, বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের নানা অস্পষ্টতাকে দূর করতে সহায়তা করে। তাই আমরা বাংলাদেশেও বিস্তৃত পরিসরে (স্কুল এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্যে) জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আয়োজন শুরু করতে যাচ্ছি। এটি শুধু আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের জন্যে উপযুক্ত প্রতিযোগী নির্বাচনের একটি প্রক্রিয়া নয় বরং একই সাথে এটি, স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জীববিজ্ঞান বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তোলার একটি সমন্বিত প্রয়াস।

যদিও শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক আগ্রহ বৃদ্ধির একটি প্রণোদনা হিসেবে প্রতিযোগিতা প্রয়োজন, তথাপি ভুলে গেলে চলবে না, যেকোনো সমাজের মূল চালিকাশক্তি প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা। তাই প্রতিযোগিতা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার অন্যতম পদ্ধতি হলেও চূড়ান্ত লক্ষ্য সকলের মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলা।

আপনিও আমাদের এই প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত  হোন।

Official Manifesto of Bangladesh Biology Olympiad

Our existence is biological as well as social and our surroundings is inseparable from biological world. Deep knowledge and mature understanding about living world and biological phenomenon is thus a part and parcel of a modern human being. Advanced and clear knowledge about living beings and biological processes is essential to develop insight in order to explain, to utilize the understanding of natural laws for social benefit and above all, to be in a healthy harmony with the world as we know it. This approach to build insight should start from childhood. Needless to say, our education system is not quite enough to meet the challenge of developing proper insight up on this matter. So, to achieve the aforementioned goal, we have no alternative but to bring our youngster students to the broader spectrum of biological knowledge beyond the conventional education system. An interesting and effective method of doing so is competitive quest for knowledge.

Keeping above objective in mind, international competition on biology has been started along with other fields of science. Several educational missions have been commenced in Bangladesh regarding those international competitions on various sciences. We can now realize that, such activities help broaden the insight of a student as well as her/his inquisitiveness towards the deeper understanding of that particular field beyond the scope of textbooks. Not only that, such competitions transmit a sound and profound understanding of the creative potential of the subject in the young minds. The training and improvisation during the preparatory phase of the competition helps remove many difficulties of understanding. That is why, we are also going to launch biology olympiad in Bangladesh at large scale (from primary to higher secondary level). This is not only going to be a process to select Bangladesh representative for International Biological Olympiad, but also will it be a way to develop integrated insight on biological sciences as a whole for all the students of Bangladesh.

Although competition is necessary as an incentive to motivate students towards the discipline, we must not forget that, cooperation, not competition, is the main driving force of any society. Thus our ultimate goal is to develop cooperative mindset within everyone, even if our working strategy relies, among other things, on competition.

You can also be a part of the revolution.

ad1
ad2
ad3